সেই সময় মদিনার আশেপাশে বেশ কয়েকটি ইহুদি গোত্র ছিল, যার মধ্যে প্রধান ছিল বনু কাইনুকা, বনু নাদির এবং বনু কুরাইজা। মুহাম্মদ প্রথমে বনু কাইনুকা, তারপর বনু নাদির এবং তারপর বনু কুরাইজা আক্রমণ করেছিলেন। এই সময়রেখা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ কারণ বনু নাদির আক্রমণের মাঝামাঝি সময়ে, মুহাম্মদ হঠাৎ করেই বনু কুরাইজা আক্রমণ করেছিলেন।
নবীজি ২১শে জুন থেকে ২রা জুলাই, ৬২২ সালের মধ্যে মদিনায় আসেন। নবী মুহাম্মদ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন।
ইহুদিদের সাথে চুক্তি মদিনার ইহুদি গোত্রগুলির সাথে চুক্তি। ইহুদি গোত্রগুলি মূলত আল খাজরাজ এবং আল আওস থেকে এসেছিল। আল খাজরাজের গোত্রগুলি ছিল বনু আওফ, বনু সাইদা, বনু আল-হারিস, বনু জুশাম, বনু আল নাজ্জার। এবং আল-আওসের অন্তর্ভুক্ত গোত্রগুলি হল বনু আমর ইবনে আওফ, বনু আল-নাবিত, বনু আল-আওস। এছাড়াও, জাফনার সালাবার আরেকটি গোত্র বনু সালাবা, বনু আল-শুতাইবা, আরেকটি চুক্তি করে।
বদরের যুদ্ধ: ১৭ মার্চ, ৬২৪ খ্রিস্টাব্দ। বদরের যুদ্ধে বিজয়ের পর, মুসলমানদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং তারা ইহুদিদের ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানায়, এই বলে যে, যদি তারা দ্রুত ইসলাম গ্রহণ না করে, তাহলে ইহুদিদের উপরও বদরের মতো বিপর্যয় ঘটবে।
বনু কাইনুকার উপর আক্রমণ: ৬২৪ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল। বনু কাইনুকা গোত্র, যারা পেশায় শ্রমিক, স্বর্ণকার এবং বর্ম প্রস্তুতকারক ছিল, এক মুসলিম মহিলাকে হয়রানির অভিযোগে মুহাম্মদ এবং মুসলিম সেনাবাহিনী তাদের উপর আক্রমণ করে।
বনু নাদিরের আমন্ত্রণ বনু নাদির গোত্রের নেতারা নবী মুহাম্মদ এবং তার সাহাবীদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান, যাতে নবী সেখানে গিয়ে তাঁর নবুয়ত প্রমাণ করতে পারেন। অর্থাৎ, তারা নবীকে পরীক্ষা করবেন, তাদের পক্ষে ত্রিশজন ইহুদি রাব্বিকে নিয়ে আসবেন। নবী তাঁর সাহাবীদের নিয়ে সেখানে যান। রাতে, তিনি হঠাৎ সেখান থেকে উঠে কাউকে কিছু না বলে চলে যান। অর্থাৎ, তিনি ইহুদি রাব্বিদের নবুয়তের পরীক্ষা নেননি। অন্যান্য সাহাবীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন, তারপর অন্য কারো কাছ থেকে শুনতে পান যে নবী মদিনায় চলে গেছেন। তারা মদিনায় ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর তারা জানতে পারেন যে জিব্রাইল নবীর কাছে এসে বলেছেন যে কিছু লোক নবীকে হত্যা করার জন্য যে বাড়িতে বসেছিলেন তার ছাদে বসে আছে। কিন্তু কেন ঐ লোকেরা নবীর সাহাবীদের হত্যা করেনি, কেন সাহাবীদের কেউ এমন লোকদের দেখেননি, এবং কেন নবী কাউকে না জানিয়ে একা এসেছিলেন, সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। অর্থাৎ, এই বিশ্বাসঘাতকতার কথা কেবল নবীই জানেন, যার কোনও বাস্তব প্রমাণ নেই।
বনু নাদিরের আক্রমণ: ৬২৫ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে বনু নাদিরের আক্রমণ। নবী মুহাম্মদ ইহুদি রাব্বিদের কাছ থেকে নবুয়তের পরীক্ষা না নিয়ে রাতে হঠাৎ ফিরে আসার পর তাদের উপর আক্রমণ করেন।
বনু কুরাইজার উপর অতর্কিত আক্রমণ এই সময়ে, নবী মুহাম্মদ এবং তার সেনাবাহিনী বনু নাদিরের সাথে যুদ্ধ করছিল। যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে, তিনি বনু নাজিরকে বাদ দিয়ে বনু কুরাইজার উপর আক্রমণ করেন এবং তাদের বাইয়াত করতে বলেন। ফলস্বরূপ, বনু কুরাইজা নবী মুহাম্মদের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করতে বাধ্য হয় যে তারা নবীকে সাহায্য করবে। এই অঙ্গীকার মোটেও ইচ্ছাকৃত ছিল না, বরং আকস্মিক আক্রমণের মাধ্যমে বাধ্য করা হয়েছিল।
খন্দকের যুদ্ধ: জানুয়ারী – ফেব্রুয়ারি ৬২৭ খ্রিস্টাব্দ। নবী মুহাম্মদ খন্দকের যুদ্ধে অংশ নেন। ৬২৭ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে বনু কুরাইজা দুর্গ অবরোধ ও আক্রমণ। নবী মুহাম্মদ খন্দকের যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে অস্ত্র না রেখেই বনু কুরাইজাকে আক্রমণ করেন, কারণ সেই সময় জিব্রাইল এসে তাকে জানান যে বনু কুরাইজা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে! এর কোন বাস্তব প্রমাণ নেই। তারা কাউকে হত্যা করেনি, কাউকে আক্রমণ করেনি। ২৫ দিন ধরে তাদের দুর্গ অবরোধ করার পর, তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
19 Responses
আপনার চিন্তা গভীর ও প্রাণবন্ত।
আপনার ভাষা অতিরিক্ত কড়া মনে হলো।
এই লেখার সাথপ আমি দ্বিমত পোষন করবে।ব্লগাররা যা লিখেছে তার সাথে আমি একমত।
আপনি শুধু নেতিবাচক দিকগুলোই তুলে ধরেছেন।
ব্লগার নাস্তিক এই মূহূতে আমি তাদেরকে সামনে পেলে কেটে কেটে জবাই করে দিতাম।এইরকম লেখা কেটে ফেলা হউক না হলে পরিস্তিতি আরো খারাে হবে
আপনার ভাষা অতিরিক্ত কড়া মনে হলো।
সালা কুওার বাচ্চা মাদারচুদ এর বাচ্চা মুসলমানদের প্রতি তোদের এতো রাগ কেনো।মুসলমানরা তোদের সাথে কি এমন খারাপ কাজ করছে ব্লগার নাস্তুিকরা দেশকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে।তোরা যেমন খারাপ তোদের পরিবার ও তোদের চেয়ে খারাপ।তোদেরকে এই পৃথিবী থেকে শেষ করে দেওয়া ভালো।
আপনার লেখার মধ্যে আলাদা আবেগ থাকে।
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা এবং অনুপ্রেরণামূলক।
এত সংবেদনশীলভাবে উপস্থাপন করা দারুণ হয়েছে।
নাস্তিকের বাচ্চা নাস্তিকরা শোন তদের সময় বেশি দিন নেই।সবকিছু গুছিয়ে নেয়।
ব্লগারদের আমার ভালো লাগে তারা সমাজের খারাপ দিকগুলো তুলে ধরে।
শুওরের বাচ্চা তোরা সামপ্রদায়িক চেতনাকে আজ তরা বিলিয়ে দিয়েছিস।আজ এখন তুই সামপ্রদায়িকতার কথা বলছিস।
এই কুওার বাচ্চা বুঝেশুনে লেখালেখি করবি।তার ফল কিন্তু ভালো হবে না।
এই কুত্তার বাচ্চা তোকে যেখানে পাবো গলা কেটে জবাই করে ফেলবো
ইসলাম ধম আজ ধংস্বের মুখে তার কারন হলো নাস্তিক ব্লগারদের ইসলামের বিরুদ্ধে অপ্রচার করার কারনে।
এই কুওার বাচ্চা মূত্যর জন্য অপেক্কা কর তুই।
কোনও নাস্তিক ব্লগাররা ইসলাম ধমকে ধংস্ব করতে পারবে না।
ইসলাম শান্তির ধম এই ধমকে কেউ শেষ করে দিতে পারে না।