আমরা একটি এমন সময়ে বাস করছি, যেখানে প্রার্থনার জায়গা থেকে শুরু করে মানুষজনের জীবন পর্যন্ত আজ অনিরাপদ। ভয়াবহ দুর্ঘটনা, সন্ত্রাসী হামলা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ—যেটাই হোক না কেন, আমরা প্রায়শই দেখি, ধর্মীয় স্থান বা ধর্মীয় অনুশীলনকারীদের লক্ষ্য করেই এসব ধ্বংস নেমে আসে। প্রশ্ন জাগে—যাঁর কাছে মানুষ প্রার্থনা করছে, তিনি কেন এই প্রার্থনাকারীদেরই রক্ষা করতে ব্যর্থ?
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা, চকবাজারের আগুন, বা মক্কার হারাম শরিফে ক্রেন দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু—এসব ঘটনা আমাদের ভাবায়। মৃত্যু আর কান্নার গর্ভে বারবার ওঠে আসে একটি প্রশ্ন—এই মানুষগুলো যাঁর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করছিলেন, তিনি কি কেবল নীরব দর্শক?
ধর্মের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষকে শান্তি, সহমর্মিতা এবং ন্যায়ের পথ দেখানো। কিন্তু আমরা বারবার দেখি, ধর্মীয় অনুভূতি এতটাই অন্ধ করে দেয় যে মানুষের জীবন, নিরাপত্তা এবং স্বাভাবিক মানবিক চিন্তাধারাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ধর্মের নামে আমরা লাশ গুনছি, কান্না শুনছি—কিন্তু প্রশ্ন করছি না।
সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় হলো—ধর্মীয় বিশ্বাসের আড়ালে আমরা এমন একটি নীরব সহনশীলতা তৈরি করে ফেলেছি, যেখানে ঈশ্বরের নামে কোনো কিছুর সমালোচনা মানেই ‘অপমান’। অথচ প্রতিটি যুক্তিবাদী মানুষ জানে, প্রশ্ন না করলে অন্ধত্ব জন্ম নেয়।
যখন কেউ নামাজরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়, বা প্রার্থনার সময় ছাদের নিচে চাপা পড়ে মারা যায়—তখনো আমরা বলি, “আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।” অথচ এই “হেফাজত”টা কেন আগে করা হয় না? কেন আল্লাহর অলৌকিক শক্তি কখনো বিপর্যয় থামাতে দেখা যায় না? এগুলোর ব্যাখ্যা কেউ দেয় না, শুধু বলে “পরীক্ষা চলছে।”
প্রশ্ন হলো—এই পরীক্ষার শেষ কোথায়? কত মৃত্যু হলে আমরা বলবো, “এটুকু যথেষ্ট”?
আমরা কি কখনো ভাবি না—মানুষ বাঁচলে ধর্ম থাকবে, মসজিদ, মন্দির, গির্জা সবই আবার গড়ে তোলা যাবে। কিন্তু যদি মানুষই না বাঁচে, তাহলে এই ধর্ম চর্চা করবে কে?
মানুষের মূল্য, তার বেঁচে থাকার অধিকার, নিরাপত্তা—এই সবকিছুকে উপেক্ষা করে যদি আমরা কেবল গম্বুজ, মিনার বা ধর্মীয় আচারের পেছনে ছুটে চলি, তাহলে আমরা কেবল আত্মবিনাশকে বরণ করছি।
এজন্যই আজ প্রয়োজন ধর্ম নয়, মানবতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। যুক্তি দিয়ে ভাবা, প্রশ্ন করা, আর মানুষের জীবনের মূল্যকে সর্বাগ্রে রাখা। ধর্ম হোক ব্যক্তিগত, অন্তরের বিশ্বাস—কিন্তু রাষ্ট্র, সমাজ আর নিরাপত্তার জায়গায় হোক মানবতা ও যুক্তির শাসন।
এই পৃথিবীটা গড়ে উঠেছে মানুষের জন্য—not for gods, but for people. এবং সেই মানুষকে রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
তাই, আজ নয় কাল—একদিন আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে: অন্ধ বিশ্বাসে নয়, যুক্তি ও মানবতার ভিত্তিতে একটি সভ্য সমাজ গড়ে তোলার শপথ নিতে হবে। ধর্মকে নয়, মানুষকে ভালোবাসুন।
18 Responses
আপনি একজন দায়িত্বশীল লেখক।
হিন্দুদের সাথে ব্লগাররা মাথা ছেড়ে উঠেছে।এদেরকে থামাতে আমার বেশি সময় লাগবে না।
মন খুলে লেখেছেন, ভালো লেগেছে।
তোদের দিন শেষ এখন শুধু শেষ দিনটা দেখার পালা।
এই ব্লগার শোন তোকে আমি যেখানে পাবো সেখানেই আমি কুপিয়ে জখম করে ফেলবো।
লেখার মধ্যে শুধুই বিষ।
এই নাস্তিক ব্লগারদের যেখানে পাবো সেখানেই কুপিয়ে জখম করে ফেলা ভালো।
মনে হচ্ছে আপনি কারো শত্রুতা করছেন।
এটা কী ধরনের বক্তব্য?
লেখাটা একেবারে অযৌক্তিক।
লেখায় যুক্তি না থাকলে সেটা মূল্যহীন।
প্রত্যেকটি লাইন একেকটি বার্তা।
এইসব ব্লগার নাস্তিক দের শেষ করে দিলে ভালো হবে।
এসব লেখার মাধ্যমে আপনি কী বার্তা দিতে চান?
নাস্তিক শুওরের বাচ্চাদের কারণে আজ আমাদের শান্তির ধম ইসলাম ধম প্রায় হুমকির মুখ।
আপনি কি ইচ্ছা করে মানুষকে কষ্ট দেন?
নাস্তিকদের উচিগ শিক্কা না পেলে তারা দিন দিন পার পেয়ে যাবে।তোদেরকে উচিত শিক্কা দিতে হবে
আপনি ভাবনার খোরাক জোগান।