প্রতিটি শিশুই নাস্তিক: একটি প্রাকৃতিক সত্য

একটি শিশু যখন এই পৃথিবীতে জন্ম নেয়, তখন তার মধ্যে কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস থাকে না। সে জানে না “আল্লাহ” কে, “ঈশ্বর” কী, কিংবা “পূজা”, “নামাজ”, “জান্নাত”, “স্বর্গ”—এসব শব্দের কোনো অর্থও তার বোধগম্য নয়। তার মস্তিষ্ক তখন কেবল অভিজ্ঞতা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত একটি ফাঁকা ক্যানভাস, যেখানে জীবনের রঙ ধীরে ধীরে আঁকা হতে থাকে।

এই নিরপেক্ষ অবস্থান থেকেই বোঝা যায়—ধর্ম শেখানো হয়, জন্মগতভাবে কেউ কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই জিজ্ঞাসু, তারা প্রশ্ন করে, সন্দেহ করে, দেখে, শেখে। কিন্তু যখন তাকে ছোটবেলা থেকেই নির্দিষ্ট একটি বিশ্বাসের মধ্যে আটকে ফেলা হয়, তখন সে তার স্বাভাবিক যুক্তিবোধের সুযোগ হারিয়ে ফেলে। এই প্রক্রিয়াতেই গড়ে ওঠে “ধর্মীয় পরিচয়”।

অপরদিকে, একজন নাস্তিক তার চিন্তা-চেতনা, জীবন-অভিজ্ঞতা এবং বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলে। সে জন্মসূত্রে নাস্তিক নয়—বরং বহু প্রশ্ন, যুক্তি এবং আত্মানুসন্ধানের মাধ্যমে সে বিশ্বাসহীনতাকে বেছে নেয়। এই বিশ্বাসহীনতা একধরনের বোধের জায়গা—যেখানে ঈশ্বর নামক কোনো অলৌকিক সত্তার অস্তিত্ব মেনে নেওয়া হয় না, কারণ তার কোনো বাস্তব বা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

নাস্তিকতা আসলে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সাহস। কেউ ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না মানেই সে খারাপ মানুষ নয়। বরং সে এমন একজন, যে সব কিছু যাচাই করে দেখতে চায়। প্রশ্ন তো অপরাধ নয়, বরং উন্নতির প্রথম ধাপ।

আমরা যখন বলি—“সব বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করা উচিত”—তখন সেই একই কথা নাস্তিক বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কারো বিশ্বাসের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা মানেই তার প্রতি ঘৃণা বা অপমান নয়। যুক্তির মাধ্যমে প্রতিউত্তর দেওয়া উচিত, হুমকি বা সহিংসতার মাধ্যমে নয়।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বলতে পারি—আমি নাস্তিক হয়েছি কারণ আমি চোখে না দেখা, পরীক্ষায় না আসা কোনো কিছুকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে পারি না। কেউ প্রশ্ন করে—“তুমি কীভাবে জানো ঈশ্বর নেই?” আমি পাল্টা প্রশ্ন করি—“তুমি কীভাবে জানো আছেন?” যখন কোনো দাবির পক্ষে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ থাকে না, তখন তা অস্বীকার করাই যৌক্তিক।

বিজ্ঞান আমাদের এমন সব প্রযুক্তি ও জ্ঞান দিয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা পৃথিবী, জীবনের উৎপত্তি এমনকি আত্মীয়তার সম্পর্কও যাচাই করতে পারি। যেমন ডিএনএ পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করা যায় কারো মা-বাবা কে। কিন্তু কোনো ধর্মগ্রন্থ, কোনো অলৌকিক কাহিনি, বা কোনো ধর্মগুরু কখনো ঈশ্বরের অস্তিত্ব নির্ভরযোগ্যভাবে প্রমাণ করতে পারেননি।

অতএব, একজন নাস্তিকের অবস্থান হলো—“প্রমাণ থাকলে বিশ্বাস করব, প্রমাণ না থাকলে প্রশ্ন করে যাব।” এবং এই অবস্থানটিও একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাসব্যবস্থা, যা সম্মানের যোগ্য।

সর্বশেষে বলা যায়—শিশুরা জন্মায় স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা নিয়ে। আমরা যদি তাদের সত্যিকারের জ্ঞান আর মানবিকতা শেখাতে চাই, তবে তাদের প্রশ্ন করতে দিতে হবে, নিজস্ব পথে চলার স্বাধীনতা দিতে হবে। ধর্ম শেখানো যেতে পারে, কিন্তু প্রশ্ন করতে শেখানো আরো বেশি জরুরি।

15 Responses

  1. তোকে যেখানো পাবো সেখানেই তোকে কুপিয়ে জখম করবো।বেশি বারাবারি করিস না।

  2. এই লেখায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেখায় আমি নিন্দা প্রকাশ করছি।

  3. আপনার লেখায় সাহসের ছাপ স্পষ্ট।

  4. এই নাস্তিক মালাউনের বাচ্চা তোরা কেনো বারবার মুসলিমানদের উপরে পরে থাকিস।

  5. লেখাটি পড়ে মনে হলো, আপনি খুব হতাশ।

  6. কেনো নাস্তিকরা এতে তৎপর হয়ে উঠেছে

  7. নাস্তিক ব্লগারদের কারণে আজকে দেশে একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।

  8. এটা কি তর্ক তৈরির জন্য লেখা?

  9. ব্লগাররা মদ খেয়ে লেখালেখি করে বলে তাদের এই লেখাকে কেউ বিশ্বাস করে না।তাদের এই লেখা যৌক্তিকতা নেই।

  10. শুধু অপমান আর অপপ্রচার।

  11. কুওার বাচ্চা ব্লগার নাস্তিকরা তোরা কেনো মুসলমানদের ধমের উপর আঘাত হানিস।

  12. শুওরের বাচ্চা নাস্তিক এর বাচ্চা তোকে আমি শেষ করে ফেলবো।

  13. খুব দরকারি কথা বলেছেন।

  14. বাংলাদেশে যত নোংরামী কাজ রয়েছে সবকিছুতে নাস্তিক ব্লগাররা জড়িত থাকে।এই সব ব্লগাররা সবসময় সক্রিয় তাকে না বলে তারা পার পেয়ে যার।কিন্তু তারা সবসময় আড়ালে নোংরামী কাজ করে বেড়ায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *