ধর্মের সমালোচনা কেন জরুরি?

ধর্ম এমন একটি বিষয়, যা বহু মানুষ তাদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু করে তোলে। তবে ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা সমালোচনা করা অনেক সময়েই দেখা যায় নিষিদ্ধ বা অপমানজনক মনে করা হয়। অথচ, সভ্য সমাজে কোনো চিন্তা বা বিশ্বাস যদি মানুষের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে, তবে সেটি নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক এবং প্রয়োজনীয়।

ধর্মের সমালোচনা কেন দরকার? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে আমাদের আগে বুঝতে হবে সমালোচনার অর্থ কী। সমালোচনা মানেই কুৎসা রটানো নয়, বা কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা নয়। সমালোচনা মানে যুক্তির আলোয় যাচাই করা, ভুলগুলো তুলে ধরা, এবং পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি করা।

বিশ্বের যেকোনো প্রগতিশীল আন্দোলনের ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যাবে, সেখানে ধর্মের ভূমিকা ছিল কখনও সহায়ক, আবার কখনও প্রতিবন্ধক। নারীর অধিকার, সমকামিতার স্বীকৃতি, বাকস্বাধীনতা, বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদের প্রসারে বহুবার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা এসেছে। এখন প্রশ্ন হলো—এই বাধাগুলো যদি আমরা দেখেও চুপ থাকি, তবে আমরা কি সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো?

ধর্ম যদি কোনো কিছুকে “পাপ” ঘোষণা করে, অথচ বিজ্ঞানের আলোতে সেটি স্বাভাবিক বা মানবিক বলে প্রমাণিত হয়—তাহলে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলা জরুরি নয় কি?

ধরুন, সমকামীদের নিয়ে ধর্ম যদি বলে, তাদের প্রতি ঘৃণা করতে হবে, তাদের দমন করতে হবে—তাহলে সেটা তো একধরনের বৈধতা দেওয়া ঘৃণার। অথচ, বাস্তবে সমকামিতা মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য, এবং তাদের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতি দেখানোই মানবিক আচরণ।

ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করলে অনেকেই বলেন, “অন্য অনেক সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়ে লিখো না কেন?” কিন্তু সত্য হলো, অন্য সমস্যাগুলো নিয়ে হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ করছেন, লিখছেন। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কেউ কিছু বললেই সেটা চোখে লাগে, কেন? কারণ ধর্মকে অনালোচ্য ভাবার একটা সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে গেঁথে গেছে।

এই সংস্কৃতি ভাঙতে না পারলে সমাজে মুক্তচিন্তার বিকাশ সম্ভব নয়। আর মুক্তচিন্তা ছাড়া কোনো উন্নত সভ্যতা গড়ে ওঠে না।

ধর্মীয় মৌলবাদ যখন কাউকে হত্যা করতে উৎসাহিত করে, বা “অনার কিলিং”-এর মতো বর্বরতা ন্যায়সঙ্গত বলে, তখন সেই ধর্মীয় শিক্ষার দিকেই আমাদের আঙুল তুলতে হবে। একে চ্যালেঞ্জ করতেই হবে।

আমরা যদি বিশ্বাস করি যে কোনো বিশ্বাস মানবতার চেয়ে বড় নয়, তবে যে ধর্ম মানবতা বিরোধী শিক্ষা দেয়, তার সমালোচনা করাটা মানবতার পক্ষেই দাঁড়ানো।

সবচেয়ে বড় কথা, সমালোচনার সুযোগ থাকলেই কেবল সত্যের মুখোমুখি হওয়া যায়। ধর্ম যদি সত্যিই নিখুঁত হয়, তবে প্রশ্ন ও সমালোচনার মুখেও সে টিকে থাকবে। আর যদি না থাকে, তবে সেই ধর্মকে পাল্টানো বা পরিত্যাগ করাই সভ্যতার পথে এগোনোর নাম।

তাই, ধর্মের সমালোচনা শুধু অধিকার নয়—দায়িত্ব। এবং এই দায়িত্ব পালনে কোনো ভয় নেই, কারণ সত্যকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রশ্ন করতে শিখলে তবেই মানুষ হতে শিখি।

16 Responses

  1. মন ছুঁয়ে যাওয়া চিন্তা।

  2. এটা কি সত্যিই লেখার যোগ্য বিষয়?

  3. তোর আখেরি বিদায় কিন্তু একবারই হবে। চাপ নিস না। ভালো কইরা চাপাতি ধার দিসি। টের পাবি না কিসু।

  4. ওই কাফেরের বাচ্চা, মুরতাদ, তুই কি লিখস এইগুলা? তোরে পাইলে জবাই দিমু মনে রাখিস !

  5. পাঠকের মন জয় করার মতো লেখা।

  6. এত ক্ষোভ কোথা থেকে আসে আপনার?

  7. শয়তানের বাচ্চা তুই ইসলাম নিয়া কিছু লিখিস না, তোরে সব মানায় না

  8. লেখায় কোনো প্রজ্ঞা নেই।

  9. ধর্ম অন্যায় করে না, বরং অন্যায় থেকে বিরত থাকতে বলে। অন্যায় করে মানুষ। বিষয়টি বুঝবেন আশা করি।

  10. মাদারচোদ, তুই আমার ধর্মকে সব সময় ছোট করার তালে থাকস। এইটার কারন কি?

  11. আপনার লেখার ভঙ্গি চমৎকার।

  12. লেখার শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারা যায় যে আপনি আ্সলে একজন ইসলাম বিদ্বেষি কাফের।

  13. আপনি কি কাউকে অপমান করার জন্য লেখেন?

  14. এমন সাহসী লেখা খুব কমই দেখি।

  15. চাপাতি ধার দিতেসি। তোরে এইবার টুকরা টুকরা করমু।

  16. সমাজকে বদলাতে এরকম লেখাই দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *