আসলে বাংলাদেশে এখন ধর্ম টাকে ধর্ম হিসেবে কম আর রাজনীতি হিসেবে বেশি বিবেচিত করা হয়। এইখান এ ধর্মের দোহাই দিয়ে যেকোনো মানুষ নিজেদের ইচ্ছা মত নিজেদের কাজের বহিঃপ্রকাশ করতে পারে। একেতো সব কিছুতে মানা তারপরেও সময়ের পরিবর্তনে তদের গন্থ কুরান , হাদিস এ তারা নিজেদের মত করে সব কিছুতে পরিবর্তন করে এসেছে। যখন তাদের ইচ্ছা এর বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা প্রকাশ করে তখনই ইসলাম এর দোহাই দিয়ে হাদিস এর দোহাই দিয়ে তারা তাদের বক্তব্য প্রচার করে । আর ইসলাম ধর্ম প্রধান দেশ হওয়ায় এইটা তাদের জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ছোট একটা উদাহরণ দি , তাদের ধর্ম অনুযায়ী তাদের নবী মোহাম্মাদ ( সা ) বাগডুম বাজাতে পছন্দ করত। তাহলে তারা যদি তাদের নবী কে এতই মানত তাহলে তারা মিউজিক কে হারাম কেন করল।
কেউ নিজের মত পশাক পরলে তাদের সমস্যা, কেউ গান বাজনা করলে তাদের সমস্যা, কেউ অন্য ধর্ম , অন্য লিঙ্গের মানুষ নিয়ে কথা বললে তাদের সমস্যা । মানে তারা নিজেদের মত করে ধর্মটা দিয়ে সবাইকে বন্দি করে রেখেছে আর নিজেদের মত করে সবাইকে কন্ট্রোল করাই এই মূর্খদের মূল উদ্দেশ্য । অনেক আগে তাদের গ্রন্থে এইগুল ব্যাপারে আলোচনা করা ছিল কিনা জানি না কিন্তু সময় এর পরিবর্তন এ এগুলো তারা পরিবর্তন করে এসেছে । কয়টা দিনা আগেও ফেসবুক এ দেখলাম তাদের ধর্মেরই এক দল এর একজন নারীদের পোশাক নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে যে নারীদের নিজের মত পোশাক পরা উচিত । শুধু এই লিখা নিয়ে তাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়েছে । শুধু তাই না তাকে সেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে । তাদের মতে ইসলাম ধর্ম এইটার অনুমতি দেয় না। এইটা কি ধর্ম ব্যবহার করা নাহ?
আরও একটা উদাহরণ দিচ্ছি এইতো কিছু দিন আগের ব্যাপার আইনজীবী মানজুর আল মতিন যিনি দেশ স্বাধীন এর সময় যেভাবে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আর লড়াই করে গেলেন, এত বড় অবদান রাখলেন দেশ স্বাধীন এ । উনি কিছু দিন আগেও ছিলেন সবার কাছে নায়ক । কিন্তু উনার একটা বক্তবে আজকে মানুষ তাকে নিয়ে গালাগালি করছে আবার তাকে কত কি ভেবে উদ্ধিবিত করছে । তার বক্তব্যটা কি ছিল ? তিনি সেইখান এ বিইবেল এর একটা অংশ লিখেন আবার ইসলাম এর একটি আয়াত লিখেন । তিনি সেইখান এ সমকামিতা নিয়ে কথা বলেন । ধর্মের প্রেক্ষিতে লিখাটা এমন ছিল যে – আরেকজনের বিচারের ভার ধর্ম মানুষের হাতে তুলে দেয় নাই । সে ভার স্রষ্টার , সৃষ্টির নয় । ধর্মের নামে কিংবা জাতিয়তাকে ওজুহাত দেখিয়ে কারো মুখ চেপে ধরতে পারে না রাষ্ট্র বা ধর্ম । ব্যাস শেষ । মানুষজন তখন থেকে তাকে বানিয়ে দিল সমকামি এর চর । আপনি কমেন্টস দেখলে আরও অনেক গালিগালাজ দেখবেন । একটা বক্তব্য একজনকে হেরো থেকে জিরো বানিয়ে দিল । যেইখান এ তার সব কথার উক্তি ছিল । কিন্তু সব মানুষদের কথাই ছিল ধর্মের বিরুদ্ধে কারও কোন বক্তব্য কিংবা মানুষ বাংলাদেশ এর মাটিতে সহ্য করা হবে না । মানে ধর্ম সময় সময়ে বাধা হয়ে দাড়ায় সেইটা হোক কারও অধিকার এর জন্য লরাতেও। এইটা ধর্মকে সামনে রেখে তা ব্যবহার করা ছাড়া আমার কাছে কিছুই না ।
আবার দেখেন শরিফ থেকে শরিফা বাংলাদেশের সপ্তম শ্রেণির বইতে যে অধ্যায় ছিল সেইটা নিয়েও কত কি হয়ে গেল । পরে সেই অধ্যায়টাই বাদ দিতে হয়েছে বই থেকে। তাদের বক্তব্য ছিল ইসলামএ এইটা হারাম। যতদূর আমার মাথার ছোট জ্ঞান , আর পড়াশোনা দিয়ে যা বুঝেছি ইসলাম এ হিজরা জায়েজ আছে । গল্পটা হিজরা কেন্দ্রিক ছিল তাই হিজরা নিয়ে আলোচনা করছি । তাহলে ইসলামে হিজরা জায়েজ থাকলে আসলেই কি বাংলাদেশে হিজরাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় ? উত্তর হচ্ছে না । হিজরা দের বাংলাদেশে সবচেয়ে নিচু শ্রেণির জীবদের মধ্যে ধরা হয়। সমাজে গালাগালি , লাঞ্ছনা, বদনাম এবংকি খুন পর্যন্ত অনেক খবর আপনি পেয়ে জাবেন । কথাটা হচ্ছে ওই অধ্যায় টাতে বলা হয়েছিল যে সে ছেলে কিন্তু তার মনে মনে সে তাকে মেয়ে হিসেবে দেখে এবং মানে । ব্যাস এইখান থেকেই শুরু । তাদের কথা ছিল ধর্ম অনুযায়ী যে হিজরা জন্মগত হয় কিন্তু এইখান এত ছেলে ছিল কিন্তু পরে মেয়ে হউয়ার কথা উটসে । এটা সমকামিতার শামিল আর ইসলাম বিরুদ্ধ । ফলস্বরূপ পুরো অধ্যায়টা বাদ দিতে হয়েছে। তাদের মতে এটা ধর্মের সামিল না আর এটা তাদের ছেলেমেয়েদের উপর প্রভাব ফেলবে । আপনি এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিলেও তারা ধর্ম হাদিস এর আলোকে নতুন হাদিস বানিয়ে আপনার কাছে উপস্থাপন করবে । এইটা বাংলাদেশের কারেন্ট পরিস্থিতি ।
আবার এই ইসলাম ধর্মেরই আর একটা দিক হচ্ছে দাসপ্রথা। পুরনো আমলে এটা ফলো করা হত । কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে আধুনিক সময়ে এটা মানা হয় না । সবদিক দিয়ে দেখেন ধর্মই আসে । তারা তাদের মতো করে শুধু ব্যবহার করে । এখন আমার প্রশ্ন থাকতেই পারে আধুনিক চিন্তায় যেহেতু দাসপ্রথা থেকে বেরিয়ে আসছেন তাহলে এখন আধুনিক ভাবে বিজ্ঞান এর ব্যাখ্যা মানতে সমস্যা কোথায় ?
21 Responses
আপনি দারুণ লিখেন, চালিয়ে যান।
তুই তো একতা কাফের আর মুরতাদ। তোর লেখার কোনো দামই আমাদের মুসলিমদের কাছে নেই
প্রতিবারই নতুন কিছু পাই আপনার লেখায়।
তোর কল্লা ফেলে দিবো
আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি লেখা শেয়ার করার জন্য।
চিন্তাশীল লেখা!
আমি আপনাকে ধর্মের পথে আহবান করছি
সময় থাকতে ইসলামের ছায়াতলে চলে আয়, নাহলে তোকে লাশ বানানো কিন্তু ২ মিনিটের ব্যাপার।
এত নেতিবাচকতা এক লেখায় কিভাবে ঢোকান!
লেখাটি পড়ে সময় নষ্ট করলাম।
এগুলো লিখে আপনি কাকে খুশি করছেন?
তোর মতো কুলাঙ্গারদের বাংলাদেশ থেকে লাথি দিয়ে বিতাড়িত করা উচিত
তোর এতো বড়ো সাহস আমাদের ইসলাম আর নবীকে নিয়ে কটূক্তি করছিস? ধর থেকে মাথাটা ফেলে দিবো কিন্তু
খুব সহজ করে কঠিন কথা বলেছেন।
এই দেশ তোগো মতো নাস্তিকদের নয়।
খানকির বাচ্চা তোর এতে কি আসে যায়? এ বিষয়ে আর টু শব্দ শুনতে চাইনা
দারুণ উপস্থাপন।
ইসলাম নিয়ে একটা বাজে কথা বলবি না
আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু শিখি।
আসলে তোকে এসব দিয়ে হবে না। তোকে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসাতে হবে। তাহলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে
আপনি কি নিজের মতামত চাপিয়ে দিতে চান?