মাদ্রাসাতে সমকামি বাক্তি এবং শিক্ষক দ্বারা বলৎকার?

বাংলাদেশ এ যখন সমকামিতা নিয়ে কথা উঠে তার সাথে সবচেয়ে বেশি কথা উঠে ধর্ম নিয়ে । এক্ষেত্রে মনে হয় এই দুইটা বিষয় একে অপরের প্রতিপক্ষ । সব ধর্মই বিশেষ ভূমিকা রাখে এক্ষেত্রে ঘৃনিত কিছু দৃষ্টান্তর । কিন্তু বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। আসলে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের কিছু আলাদা আলাদা দল আছে যারা আসকল বিষয়ে নিজেদের বিকৃত মস্তিস্কের বিকৃত জ্ঞান দিয়ে থাকে। যদি এখনকার পরিস্থিতিই দেখেন তাহলে দেখবেন বিভিন্ন অয়াজ মাহফিলএ কোন বক্তা সমকামিতার বিরুদ্ধে বয়ান দিচ্ছে , আবার তাদেরই সেই পবিত্র জায়গায় মসজিদ মাদ্রাসাএ ছোট ছোট শিশুদের বলাৎকার করা হচ্ছে।

এদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রতিবাদ গ্রহন করা হয়না। মাঝে ভিকটিমটা কে হয়? সেই শিশু । হয়তো তারপরে আমার মত সারাজিবন তাকে এই গ্লানিটা নিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশে আপনি যেকোনো মাদ্রাসা দেখেননা কেন , সেটা শহরে হোক আর গ্রামএ হোক বেশির ভাগ মাদ্রাসাএ এসব কুকীর্তি হয়ে থাকে। কারন তাদের জন্য এই মাদ্রাসাই সবচেয়ে বিপদমুক্ত জায়গা। একবার ভাবুন যে মাদ্রাসায়ে হয়তো একসময় ধর্মের জ্ঞান দেওয়া হয় সেই মাদ্রাসায়েই এরকম ঘৃনিত কাজও করা হয়। আর স্বয়ং বয়স্ক শিক্ষকরাই এরকম কাজ এর কর্তা হয় । এইখানে আমাদের বিকলঙ্গ ধর্ম এবং আমাদের বিকলঙ্গ সমাজ সব চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। নয়ত আমরা যদি প্রথমেই সবাইকে সমকামিতা নিয়ে শিক্ষা দিই , সমকামিতা নিয়ে উৎসাহ দিই তাহলেই সব বেক্তিরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী তাদের সঙ্গী খুজে নিতে পারে । এতে করে তাদের যৌন জীবনও সুখের হয় আবার যৌন চাহিদার জন্য তারা কোন বিকৃত যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া থেকেও বিরত থাকে। আজকে হয়তো কোন সমকামি বেক্তি অন্য কোন মেয়ে এর সাথে সমাজ ধর্মের চাপএ বিয়ে করে সংসার করতেসে। কিন্তু সে কক্ষনো যৌন চাহিদাই অনুভব করে নাই তার সঙ্গির সাথে।

কারন তার পছন্দ হয়তো অন্য কোন পুরুষ । তখন তার চাহিদা মেটানোর জন্য হয়তো সে অন্য কোন শিশু এর শিকার করবে । এইখান এ আপনি কাকে দোষ দিবেন ? ভিকটিম নাকি যে করলো তাকে ? এইখান এ সবচেয়ে বড় ভূমিকা এই ধর্ম আর সমাজই করল নাহ ? দুইটা মানুষকে এগিয়ে দিল অপরাধ করতে এবং অপরাধ এর ভিকটিম হতে। একটা ধর্ম যেইটা ভুল শিক্ষা দিয়ে সমাজকে অন্ধকার এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে , প্রকৃতি বিজ্ঞানকে পিছনে রেখে । আর মানুষকে কৌশলে উদুব্দধ করছে অপরাধ এ সামিল হতে । আর মাদ্রাসা এইখান এ সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয় কারন মূর্খ জাতি মনে করে এটা তাদের ধর্মের জায়গা আর এইখানএ যেই কাজই হক না কেন সেইটা পুন্নের কাজ হবে সেইটা বলাৎকারই হোক না কেন । এইজন্য অনেক সমকামি বেক্তি মাদ্রাসাএ বাচ্চাদের বলাৎকার করে আবার দেখবেন কোন মাহফিলএ সমকাম এবং সমকামিদের বিরুদ্ধে বয়ান দিচ্ছে ।দেখুন ধর্মটা কিভাবে , আর এই ধর্মবুদ্ধিরা কিভাবে নিজেদের ধার্মিক জায়গাই বেঁছে নিচ্ছে গর্হিত কাজটি করার জন্য। 

12 Responses

  1. সত্যিই প্রেরণাদায়ী লেখা।

  2. এত কিছুর মধ্যে এসব নিয়ে লেখার দরকার কী?

  3. খুব ভালো একটি দৃষ্টিভঙ্গি।

  4. মাদ্রাসা নিয়ে আজেবাজে কথা বলবি না।

  5. আপনি কি নিজেই বুঝে লিখেন?

  6. ইসলাম নিয়ে বাজে মন্তব্য না করাই শ্রেয়।

  7. আপনার লেখাগুলো খুবই বিভ্রান্তিকর।

  8. এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম!

  9. আপনার লেখায় কোনো যুক্তি খুঁজে পেলাম না।

  10. ফালতু কথা বলার জায়গা পান না?

  11. দেখ, মাদ্রাসা বা ইসলাম নিয়ে একদম বাজে কথা লিখবি না, দ্বিতীয় বার কিন্তু বলবনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *