ধর্মীয় নেতা বা প্রবর্তকরা যুগে যুগে মানুষের মন ও সমাজ গঠনে প্রভাব ফেলেছেন। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—তাদের বক্তব্য, চিন্তাভাবনা ও আচরণ কতটা যুক্তিসঙ্গত ছিল? বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মুহাম্মদের বিভিন্ন বক্তব্য ও হাদিসসমূহ ঘিরে আজকের আধুনিক সমাজে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে।
মুহাম্মদের জীবনী থেকে সংগৃহীত কিছু হাদিসে এমন বহু বক্তব্য পাওয়া যায়, যেগুলো আধুনিক বিজ্ঞান, যুক্তি ও বাস্তবতার পরিপন্থী। যেমন ধরা যাক—রাতের বেলা শয়তান ঘোরাফেরা করে, দরজা বন্ধ না রাখলে শয়তান ঘরে ঢুকে পড়ে, হাড় ও গোবর হলো জ্বীনের খাদ্য, শয়তান ঘন্টার শব্দে উপস্থিত হয় ইত্যাদি। এসব কথা আধুনিক মানুষকে স্বাভাবিকভাবেই চমকে দেয়।
একজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ হয়তো এসব হাদিসকে আক্ষরিক অর্থে না নিয়ে প্রতীকী ব্যাখ্যায় নেবেন, কিন্তু যাঁরা ধর্মীয় বক্তব্যকে যুক্তি ও প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করতে চান, তাঁদের জন্য এটি একধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি করে।
বিশ্বব্যাপী অনেক মুসলিম ধর্মপ্রচারক এসব বক্তব্যকে যুক্তিসঙ্গত হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। কেউ বলেন, “এগুলো বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা ভবিষ্যতে মিলবে”, আবার কেউ বলেন, “এগুলো পরীক্ষার জন্য, বিশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয়”। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যদি কেউ হাঁড় বা গোবরকে ‘জ্বীনের খাবার’ বলে দাবি করেন, তাহলে সেটি প্রমাণের দাবি রাখে—বিশ্বাসের নয়।
আবার একটি প্রশ্নও উঠে—যে ধর্ম শান্তি, জ্ঞান ও মুক্তির কথা বলে, সেখানে অন্ধ বিশ্বাস, অলৌকিক ভয় এবং কুসংস্কারের জায়গা কীভাবে গ্রহণযোগ্য হয়? যদি কেউ বলে যে, রাতে ঘর থেকে বের হলে শয়তান আক্রমণ করবে, তাহলে সেটা এক প্রকার ভয়ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া আর কী?
আলোচনার আরেকটি দিক হলো—এইসব বক্তব্য মুসলমান সমাজে কতটা বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রচারিত হয়, এবং তা নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারায় কেমন প্রভাব ফেলে। ধর্ম প্রচারকারীরা অনেক সময় এসব হাদিসকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে, বরং অন্ধভাবে অনুসরণ করতে বলেন। এতে করে যে চিন্তা-জিজ্ঞাসা ও সন্দেহের জায়গা থাকা উচিত ছিল ধর্মের মধ্যে, তা হারিয়ে যেতে থাকে।
একটি শিশু জন্মায় নিরপেক্ষভাবে—তার কোনো ধর্ম থাকে না, কোনো বিশ্বাস থাকে না। ধীরে ধীরে পরিবার ও সমাজ তাকে একটি বিশ্বাসে বড় করে তোলে। এই প্রক্রিয়ায় যদি তার মধ্যে কেবল ভয়, অলৌকিকতা ও প্রশ্নহীন আনুগত্য ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সে কখনো স্বাধীনভাবে ভাবতে পারবে না।
আজকের দিনে তাই প্রয়োজন সত্যকে যাচাই করার সাহস, ধর্মের মধ্যেও প্রশ্ন তোলার অধিকার। মুহাম্মদ হোন, বা অন্য যেকোনো ধর্মপ্রবর্তক—তাঁদের বক্তব্য বিশ্লেষণের সুযোগ থাকতে হবে। সত্য, যদি সত্য হয়, তাহলে তা যুক্তির পরখে টিকে যাবে।
একজন মানুষ হিসেবে, আমাদের দায়িত্ব—বিচার করতে শিখি, যুক্তির আলোয় সত্য ও মিথ্যা আলাদা করি। ধর্মের ছায়ায় কুসংস্কার যদি চলে আসে, তাহলে ধর্মকে রক্ষা করার সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে—তাকে পরিশোধিত করা, প্রশ্ন করা, আর মানবিক চেতনার দিকে এগিয়ে যাওয়া।
15 Responses
লেখায় কোনো দৃষ্টিভঙ্গি নেই, শুধু অভিযোগ।
ওই শোনা কুলাংগার বাচ্চা তোদের হাত পা বেশি লাম্বা হয়ে গেছে
একটা কোপ মেরে তোর মাথা আলাদা করে ফেলব
মনে হয় আপনি আমার মনের কথা বলেছেন।
নাস্তিক ব্লগাররা খারাপ খারাপ লেখা ছাড়া আর কিছু লেখতে পারে না।সালা মাদারচুদ এর বাচ্চা ব্লগার।
আপনার লেখায় কোনো মানবিকতা দেখি না।
দেশ যেই দিকে যাক না কেনো।নাস্তিক ব্লগাররা তাদের স্বাথের জন্য সবকিছু করতে পারবে সুযোগে নাস্তিকরা বেড়ে উঠে।এই সব কুওার বাচ্চাদের যেখানে পাবো সেখানে কুকোরের মতো লেলিয়ে মারবো
এই শোন নাস্তিক এর বাচ্চা তোকে এখন আমি কাছে পেলে কুপিয়ে কুপিয়ে জখম করতাম।
এই শোন তোমারা নিজেকে একটি কবিতার কাব্য মনে কর।বই লেখ বলে তোমরা নিজেকে একজন কবি মনে করও না। তোমরা নাস্তিক তোমরা কখনও ভালো হবে না।সি সি নাস্তিক এর বাচ্চা।
আপনি কি সবসময় এমন কড়া ভাষা ব্যবহার করেন?
অসাধারণ অভিব্যক্তি।
সব কিছুর মধ্যে ধর্মকে কেন টেনে আনিস নাস্তিকের বাচ্চা
এমন চিন্তা অনেকেই করে না।
তুই কি ভাবছিস, এসব বলে তুই আমাদের ধর্ম থেকে দুরে সরিয়ে নিতে পারবি? এটা কখনওই সম্ভব না
প্রত্যেকটা লাইন গভীর অর্থবহ।