বাংলাদেশ এ সমকামিদের আবস্থা এখন কেমন?

অন্য যেকোনো মুসলিম দেশ এর মতো বাংলাদেশেও সমকামিদের আবস্থা খুবই নাজেহাল এবং ভয়ানক। আমি বলতে পারি অনন্য দেশ এর থেকে বাংলাদেশের আবস্থা একটু বেশই খারাপ। কারণ এই দেশে শুধু সমকামি প্রচার করার জন্যও মেরে ফেলার নথি আছে। বিশেষ করে ইসলাম ধরমালম্বি দেশ হউয়ায় উগ্রবাদী মুসলিমরা সমকামি মানুষ মারাকে এক পুন্নের কাজের শরীক করে থাকেন এখানে। আর আপনি বিভিন্ন মাদ্রাসা ওর মসজিদ এ গেলে দেখতে পাবেন কোন এক বক্তা সরাসরি এই গোষ্ঠীর মানুষদের মেরে ফেলার বক্তব্য দিচ্ছে।

মূল কথা হচ্ছে যার মধ্যে সমকামির বীজ থাকবে সেই সমকামি হবে। এইটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। তারাও রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। এখন আপনি যদি কারও যৌন অধিকার কেড়ে নিয়ে তাকে বিকৃত যৌন মিলন করতে বলেন তাহলে একটা সময় পড়ে সেই মানুষটার বড় কোন অপরাধ এ জরানোর প্রবল সম্ভবনা থাকে। তা হতে পারে ধর্ষকামী , শিশুকাম  হয়ে যাওয়া। অনেকে আত্মহত্যা এর পথে চলে যেতে পারে। আজকে আমারা কত খবর দেখি আত্মহত্যা প্রাসঙ্গিক। সবাই শুনে থাকি প্রেম কেন্দ্রিক আত্মহত্যা । আসলেই কি প্রেম কেন্দ্রিক , সেইটা আমরা গভীরএ গিয়ে দেখি না।

আমাদের দেশে ধার্মিক আর সামাজিক এই দুইটা মিলে সমকামিতাকে এমন একটা পরিস্থিতিতে নিয়ে দাঁড়িয়েছে যে সবাই আত্তগপনে থাকে। কারন এরা সামনে আসলে হইতও এদের সমাজ পরিবার থেকে বের করে দেওয়া হবে । নয়তো এদের গুম করে দেওয়া হয়। যেইখান এ পশ্চিমা দেশগুলতে সমকামিতাকে বয়্যধতা দেওয়া হয়েছে সেইখানে আমরা এখন সেই পুরনো ধর্ম এবং সমাজ নিয়ে নাচানাচিতে বাস্ত। পরিবার থেকে বহিষ্কার , সমাজ থেকে বহিস্কার, হাসি ঠাট্টা , মারধর, সম্পত্তি থেকে বঞ্ছিত লাঞ্ছিত এগুলো বাংলাদেশের সমকামিদের দুর্দশা। আর আপনি যদি মসজিদ , মন্দির অথবা কোন মাহফিলেও যান তাহলে সমকামিদের কঠোর শাস্তিয়ের কথা শুনতে পাবেন। আপনি যদি বিসমকামি হন তাহলে আপনাকে কক্ষনো বলা হবে না অথবা চাপ দেওয়া হবে না যে আপনি সমকামি হন। কারন এইটা তাদের কাছে স্বাভাবিক। কিন্তু এই সামাজিক, ধার্মিক মূর্খরা এইটা মানতে নারাজ যে সমকামি, উভকামি এগুলোও স্বাভাবিক। আপনি এই মূর্খদের যতই বুঝানোর চেষ্টা করুন না কেন এরা সমাজ এবং ধর্ম নিয়ে এসে আপনাদের সব বিশ্লেষণ শেষ করে দিবে ।

সেইটা বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণও হক না কেন। আমি আরেক ভাষাই এদেরকে মূর্খের দেশ বলি । এই দেশ এ এমন অনেক সমকামি মানুষ আছে যাদের চাপ দিয়ে বিপরিত লিঙ্গের কারও সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সমকামি বাক্তি দিব্বি সংসার করছে কিন্তু সেই কি আসলেই ভাল আছে ? কারন তার যৌন চাহিদা তো তার নিঙ্গ কেন্দ্রিক। আমারা কেন এত সংবাদ শুনতে পাই শিশু বলাৎকার কেন্দ্রিক? আপনি বাংলাদেশ এর খবরে এগুলো অনেকভাবে দেখতে পারেন । এগুলো খবরকে অনেক মড় দেওয়া হয়। পরে আমরা জানতে পারি মাদ্রাশা অথাবা মন্দির অথবা পরিবাররে কোন বয়স্ক লোক দ্বারা শিশু বলাৎকার । আর আপনি যখন এগুলো বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ অথবা ব্যাখ্যা {আচ্ছা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বলি} দিতে জাবেন তখন আপনার পরিস্থিতি হয়তো জুলহায মান্নান, তন্ময় মজুমদার অথবা অভিজিৎ রায় এর মত হবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশএ সমকামিদের অবস্তা খুবই খারাপ। আপনাকে সমাজ , পুলিশ , গনতন্ত্রের হেনস্তার শিকার হতে হবে। সবচেয়ে প্রবল সম্ভবনা থাকে মৃত্যুর। আরেকটা বিষয় দেখেন ৩৭৭ ধারা কিন্তু শুরু করেছিল ব্রিটিশ ।

সময় এর পরিবর্তন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সব দিয়ে একটা সময় পরে তারা এই ধারাটা তুলে নিছেয়ে । সবাইকে মানুষ হিসেবে বাচার অধিকার করে দিয়েছে । আজকে লন্ডন সহ বিভিন্ন ইউরোপএর দেশে সমকামি, উভকামি, বিসমকামি সবাই একসঙ্গে মিলে জীবিকা নিরবাহ করতেসে আর অনেক ভাল ভাবে । কিন্তু আমাদের এই বাংলাদেশে ৩৭৭ ধারা এখন চলমান। সদুর ভবিষ্যতে এই ধারা তুলে নেওয়ার সম্ভবনাও খুবই

11 Responses

  1. খুব ভালো বিশ্লেষণ করেছেন।

  2. আপনি কেন এমন নেতিবাচক বিষয় নিয়ে বারবার লেখেন?

  3. আপনার লেখার গুণে মুগ্ধ।

  4. আপনার লেখার মান এত খারাপ কেন?

  5. সমকামিতা নিয়ে কোন কথা হবে না।

  6. এসমস্ত ফালতু জিনিস নিয়ে লিখে কি হবে?

  7. সমকামীরা সমাজের নিকৃষ্ট কিট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *