অনেক ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আজকে লিখতে বসলাম । ২০২০ এর অনেক ভয়ানক সময় আমারা পার করলাম । করনা ভাইরাস এ চারিদিক এ শুধু মৃত্যু আর মৃত্যু। ২০২১ এ আসলাম আমরা। নতুন বছরে কিছু মনের কথা আপনাদের সামনে তুলে না আনলে নিজেকে অনেক অপরাধি মনে হচ্চে।
আসলে চারিদিকে এমন মৃত্যু আর গাফিলতা দেখে মনটা বড়ই অস্থির হয়ে আছে। হয়ত লিখে মনের ভাবটা প্রকাশ করলে একটু শান্তি লাগবে। করোনা ধিরে ধিরে আমাদের গিলে নিচ্ছে । অন্য দেশেও এর প্রকোপ রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশে এইটার প্রকোপটা একটু বেশি খারাপ পর্যায় নিয়ে গেছে। এই জন্য মনটা অনেক খারাপ। আর অস্থির কেন বল্লাম জানেন কারন এই আবস্তার জন্য শুধু দায়ি আমরা নিজে। এইসব মৃত্যুর দায়ভার কে নিবে ? আরও গভীরে গেলে আমরা কি দেখব জানেন ? আমরা দেখব আমাদের মূর্খের মত বুদ্ধি আর ধর্ম নামক ব্যাধি ।
আজকে এত মৃত্যু এত অবহেলা সুধু মাত্র এই ব্যাধিটার জন্য । যেইখান এ বিভিন্ন দেশ তাদের দেওয়া লকডাউন মেনে চলে নিজেদেরকে এবং অন্যদেরকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে সেইখানে আমরা বাহিরে বসে বসে মিলিত হয়ে মিটিং করে ধর্মের সৃষ্টিকর্তার নামক কিছুর কাছে দুয়া চেয়ে যাচ্ছি ঘরে নিজেদেরকে এবং অন্যকে সুরক্ষিত না করে । কি একটা অবস্থা করে দিয়েছে মানবসমাজকে এই ধর্ম নামক ক্যান্সারটা। এই বিপদজনক সময়ে মানুষ সবাইকে নিজের নিজের এলাকার মসজিদ , মন্দির , গির্জা এগোলও জায়গায় এক হতে বলছে সেইখান এ যেন সবাই এক হয়ে ক্ষমা চায় তাদের স্রষ্টা কাছে । তাদের মতে স্রষ্টায়ের গজব পরেছে, আর এইটা থেকে একমাত্র উত্তলনের উপায় হোল তার কাছে মাফ চাওয়া । এইদিকে তাদের এই ধর্মের নিয়ম নিতি মানার জন্য , এবং বিশৃঙ্খল ভাবে লকডাউন না মানার জন্য কতো মানুষের মৃত্যু দেখতেসি নিজের চোখের সামনে। হায় হায় । হায় মানুষ আর হায় ধর্ম । এইগুলো আর নিতে পারতেসি না।
এমন দেশেও বাস করতেসি যে সরকারও এইগুল সত্ত খবর সবার সামনে না এনে অন্য ফেক খবর প্রচার করে যাচ্ছে । এইদিকে মানুষজন থামার নাম নিচ্ছে না , নিয়মিত গেথারিং করে যাচ্ছে বিভিন্ন মসজিদ , মন্দির , গিরজা এইগুল জায়গায়। আপনি কিছু বলে বুঝাতে জাবেন তখন তারা নিজেই আপনার উপর চরাই হবে আর পদবি দিবে হয়ত আমার মত মানুষ এর জন্য তাদের স্রষ্টা তাদের উপর গযব দিচ্ছে। এমন মানসিকটা আর এই ধর্মের জন্য এমন কার্যকলাপ , এতো মানুষের মৃত্যু এগুলো আমি আর নিতে পারতেসি না।
কাউকে এসব কিছু বুঝাতে গেলে অথবা থামাতে গেলে হয়ত আমার মাইর খেতে হবে। তাই লিখার সিদ্ধান্ত নিলাম। হয়তো কোনদিন মানুষ এগুল পরে অথবা দেখে জানতে পারবে যে ধর্ম আমাদের কি ক্ষতি করে গেছে আর কত জীবন নিয়ে গেছে। আর আমারা নিজে এই ধর্মের দহায় এ মানুষ মারতে সহায়তা করসি। এইরকম ভয়ানক সময়েওকি আমাদের ধর্ম টা আগে আনা প্রয়োজন ছিল ? এইটা আমার প্রশ্ন । কেন আমারা অন্যান্য অনেক দেশ এর মানুষ এর মত নিজেরা নিজেদের পাশে দাঁড়ালাম না ? দাঁড়ানো কি উচিত ছিল না ? তাহলে হয়ত আজকে ফলাফলটা অন্যরকম হত আর আমাদের এত জীবন দিতে হত না।
7 Responses
ব্লগ জগতে আপনাকে স্বাগতম
আপনার লেখায় মন ছুঁয়ে গেল।
এমন বাজে লেখা আর কখনো পড়িনি।
অসাধারণ লিখেছেন!
এসব লিখে কী প্রমাণ করতে চান আপনি?
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি খুবই সংকীর্ণ।
দারুণ লাগলো লেখাটি।